মুক্তি পাওয়াদের বর্ণনা
ইসরাইলি করাগারগুলোর অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ- মুক্তি পাওয়া আব্দাল্লাহ আবু রাফে
যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের অবসান ঘটেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষনা করেছেন গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটলো। এরই মধ্যে শুরু বন্দি বিনিময়। ইসরায়িলী বন্দিরা যেমন মুক্তি পাচ্ছেন তেমনি ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিও মুক্তি পাচ্ছে। সব জায়গায়ই স্বস্তির নিঃশ্বাস। এরপরও বেরে হয়ে আসছে অনেক ঘটনা। ফিলিস্তিনিরা বাড়ীতে ফিরে দেখছেন ধ্বসযজ্ঞ। বন্দিরাও যারা ফিরছেন জানাচ্ছেন তীব্র কঠিনতর কথা। ‘আমরা কসাইখানায় ছিলাম, কোনো কারাগারে না। দুর্ভাগ্যবশতা আমরা ‘ওফার কারাগার’ নামে এক কসাইখানায় ছিলাম। অনেক তরুণ এখনো সেখানে বন্দি।'
এমনটাই বলেন সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরাইলি কারগার থেকে মুক্তি পাওয়া আব্দাল্লাহ আবু রাফে নামের এক ব্যক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইলি করাগারগুলোর অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। সেখানে কোনো গদি নেই, যা ছিল তারা সেগুলোও কেড়ে নিয়েছে। খাবারের অবস্থাও শোচনীয়। সব কিছুই সেখানে খুব কঠিন।’
মুক্তির অনুভূতি নিয়ে রাফে বলেন, ‘অসাধারণ এক অনুভূতি।’
মুক্তি পাওয়া আরেক ফিলিস্তিনি ইয়াসিন আবু আমরা ইসরাইলি কারগারের অবস্থা ‘অত্যন্ত, অত্যন্ত খারাপ’ বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘খাবার, নির্যাতন, মারধর—সবকিছুই ভয়াবহ ছিল। কোনো খাবার বা পানি ছিল না। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি সেগুলো খেয়েছি।’
সোমবার মুক্তি পাওয়া আরেকজন বন্দি সাঈদ শুবাইর জানান, তিনি তার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না।
তার ভাষায়, ‘এই অনুভূতি বর্ণনাতীত। কারাবন্দি না হয়ে সূর্য দেখা—এ এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই—এটি অমূল্য।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার ইসরাইল প্রায় এমন ২৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে, যারা আজীবন ও দীর্ঘ কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। এছাড়া গাজা থেকে যুদ্ধ চলাকালে আটক করা আরও প্রায় ১,৭১৮ জনকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ এদের ‘জোরপূর্বক গুমকৃত’ ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করেছিল। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা।
কমেন্ট বক্স