পুলিশের লাঠিচার্জের আঘাতে কৃত্রিম হাত ভেঙে গেল জুলাইযোদ্ধার, আর্তনাদ!
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে দাবী দাওয়া নিয়ে যাওয়া জুলাই যোদ্ধাদের অনেকেই এখন হাসপাতোলের বেডে কাতরাচ্ছেন। এরই মধ্যে একজনের আর্তনাদ এখন ব্যাপক ভাইরাল।
পুলিশের লাঠিচার্জের আঘাতে কৃত্রিম হাত ভেঙে গেল জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত আতিকুল ইসলামের কৃত্রিম হাত। এ ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এতে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় আন্দোলনরত জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সেখানে পুলিশের লাঠিচার্জে আতিকুলের কৃত্রিম হাতটি ভেঙে আলদা হয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আক্ষেপ করে বলেন, সংঘর্ষের সময় জুলাই যোদ্ধা আতিকুলকে আহত হয়ে সড়কে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। শেখ হাসিনাকে হটাতে আন্দোলনে যোগ দিয়ে আহত হয়ে তার কেটে ফেলতে হয়েছে। এরপর তার শরীরে কৃত্রিম হাত লাগানো হয়। সেই কৃত্রিম হাত সংঘর্ষের সময় পুলিশের লাঠিচার্জে আলদা হয়ে যায়। পরে কয়েকজন এসে আহত আতিকুলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জুলাই আহত বীর হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়াসহ ৩ দাবিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অবস্থান নিয়েছেন জুলাইযোদ্ধারা। দাবি না মানলে এলাকা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আহত আতিকুল বলেন, স্বৈরাচার হাসিনাকে উৎখাত করতে আমি হাত বিলিয়ে দিয়েছি। তখন আমার পুরো শরীরসহ আশপাশের সব কিছু রক্তে লাল হয়ে গিয়েছে। আমরা রক্ত দিয়ে শেখ হাসিনাকে বিদায় করে নতুন এক সরকারকে বসিয়েছি। সেই সরকার এখন আমার উপর হামলা করেছে। এবার আমার শরীরে লাগানো কৃত্রিম হাত আলাদা করে ফেলেছে। আমরা জুলাই সনদ সবার মতামতের ভিত্তিতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু বর্তমান সরকার সেটি চায় নাই। উল্টো আমাদের রক্তের উপর দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করছে।
আরেক জুলাই যোদ্ধা সবুজ মিয়া বলেন, আমরা আজকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর দেখতে এসে হামলার শিকার হয়েছি। শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে আমরা আন্দোলন করে শহীদ হয়েছি। কেউ কেউ তাদের অঙ্গ হারিয়েছে। অথচ এ সরকার আমাদের বাদ দিয়ে জুলাই সনদ স্বাক্ষর করায়।
অন্যদিকে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বিক্ষিপ্ত জুলাইযোদ্ধারা সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে ফেলেন। এমনকি বের হয়ে বেশ কয়েকটি ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করেন। পুলিশের ব্যারিকেডের জন্য ব্যবহৃত রোড-ব্লকারগুলো একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দেন তারা।
কমেন্ট বক্স