২০ অক্টোবর ২০২৫ , ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

‘দারসুল কোরআন’ প্রোগ্রামে ছাত্রদল-যুবদলের হামলার অভিযোগ

ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রশিবির

অনলাইন প্রতিবেদক
আপলোড সময় : ১৯-১০-২০২৫
ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রশিবির
মসজিদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘দারসুল কোরআন’ প্রোগ্রামে ছাত্রদল-যুবদলের হামলার অভিযোগ তুলে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রশিবির। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে ফেনী শহর শাখা ছাত্রশিবিরের ব্যানারে শহরের বড় মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।




সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোরআন সমাবেশে যারা হামলা চালিয়েছে তারা ৩৬শে জুলাইকে অস্বীকার করেছে। যেভাবে মুসলমান ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আবদুর রহিম বলেন, ছাত্রশিবির আয়োজিত দারসুল কোরআন অনুষ্ঠানে যুবদল-ছাত্রদল নামধারী যে সন্ত্রাসীরা বর্বরোচিত হামলা করেছে, তার প্রতিবাদে আজকের এ বিক্ষোভ সমাবেশ। বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। আবার কেউ যদি বাংলার মাটিতে সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করতে চায়, বাংলাদেশের ছাত্রজনতা আবারও তাদের কবর রচনা করবে।




জেলা শিবির সভাপতি আবু হানিফ হেলাল বলেন, ছাত্রশিবির দারসুল কোরআনের আয়োজন করেছিল, কিন্তু সন্ত্রাসীরা সেখানেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমার ভাইদেরকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আমরা হুশিয়ার করে বলতে চাই, এসব হামলা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছিল আওয়ামী পলাতক সন্ত্রাসীদের বৈশিষ্ট্য। নতুন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের অনুভূতি বুঝে, কোরআনের পক্ষে থেকে ও ইসলামের পক্ষে থেকে রাজনীতি করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে শহর শিবির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, নোয়াখালীতে কোরআন প্রেমিক মুসলমানদের ওপর যুবদলের সন্ত্রাসীরা যেভাবে হামলা চালিয়েছে তারা ৩৬শে জুলাইকে অস্বীকার করেছে। প্রশাসন থাকার পরও কিভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হলো তার জবাব প্রশাসনের কাছে চাই। হামলার সঙ্গে জড়িতদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।



এ সময় ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার নোয়াখালীর কাশেমবাজার মসজিদে ছাত্রশিবিরের কোরআন শিক্ষা চলাকালে যুবদল নেতার হামলা ও শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আজ রোববার দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপর প্রতিবাদ হিসেবে বিকেলে ওই মসজিদে দারসুল কোরআন প্রতিযোগিতার কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রশিবির। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেলে নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজারে ছাত্রশিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 


কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ